শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন

রোজার পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল

ওয়ান নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১০ Time View
রোজার পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল
রোজার পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল

রোজায় বহুলব্যবহৃত আট ধরনের পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হচ্ছে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর। এসব পণ্য আমদানিতে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

সার্কুলারে বলা হয়, আসন্ন রোজায় এসব পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ স্বাভারিক রাখার মাধ্যমে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

এর আগে ডলার সংকটে অনেক পণ্যের আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতভাগ এলসি মার্জিন আরোপ করে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানিতে এলসি মার্জিন ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারণ বহাল রাখা হয়। এর আওতায় চাল, ডাল, ভোজ্যতেল আমদানি করা যেত। মসলা ও খেজুর আমদানির এলসি খুলতে শতভাগ মার্জিন দিতে হতো। অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন দিয়েও এলসি খোলা যেত না ডলার সংকটের কারণে। আমদানিকারককে ডলারের সংস্থানও করতে হতো।

আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে রোজায় বহুলব্যবহৃত পণ্যগুলো আমদানির ক্ষেত্রে আগের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর আমদানির এলসি খুলতে শতভাগ মার্জিন লাগবে না। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সাধারণত ৫ থেকে ২০ শতাংশ মার্জিন নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ডলারের সংস্থানও আমদানিকারককে করতে হবে না। ব্যাংকগুলোর কাছে রেমিট্যান্স বাবদ যেসব ডলার উদ্বৃত্ত থাকে, সেগুলো দিয়ে এসব এলসি খোলা হবে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানিকারকরা শিথিল করা মার্জিনে এসব পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে পারবেন। তবে মার্চের শেষদিকে যেগুলোর এলসি খোলা হবে, সেগুলো রোজায় বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে না। তবে রোজা-পরবর্তী সময়ে পণ্যের সরবরাহ বাড়ার ক্ষেত্রে এসব এলসি ভূমিকা রাখতে পারবে। ৩১ মার্চের পর থেকে আবার আগের নিয়মে এসব পণ্যের এলসি খুলতে হবে।

এদিকে এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকদের নগদ টাকা কম লাগবে। এতে আমদানি খরচও কম হবে। ফলে এ সুবিধার কারণে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমার কথা।

সূত্র জানায়, ডলার সংকটে সাম্প্রতিক সময়ে এসব পণ্যের এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুর, বিভিন্ন ফলের এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে এসব পণ্যের আমদানি কম হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহও কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে বিদেশি ফল ও খেজুর মিলছে না বললেই চলে।

সূত্র জানায়, রোজা শুরু হবে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুর দিকে। এ হিসাবে এখন এলসি খোলা হলেও এসব পণ্য আমদানি করে বাজারে ছাড়া যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin